দেশ জুড়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের প্রতি এসব নির্যাতন বন্ধ ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি বিচারপতি সুলতান হোসেন খান ও নির্বাহী পরিচালক মাসুদা গাওস এক বিবৃতিতে বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন মানবাধিকারের পরিপন্থী। সংখ্যালঘুরাও এদেশের নাগরিক । সবার মতো তাদেরও অধিকার রয়েছে সম্মানের সঙ্গে এদেশে বসবাস করার । সে অধিকার যারা ছিনিয়ে নেয় তারা মানবতার শত্রু হিসেবে বিবেচ্য।
ন্যাপ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজুল্লাহ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন , সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার, বাড়িঘরে লুটপাট, শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেই চলেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসব ঘটনা দেখেও না দেখার ভান করেছিল। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এ দেশে আগেও হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলে ঘটনা আড়াল করতে চেয়েছেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ঐক্যপরিষদের এমরান চৌধুরী, ড. ইনামুল হক, মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, আব্দুল জব্বার, মুজিব পরদেশী, চিত্রনায়ক ফারুক, আলমগীরসহ ১৫১ জন নেতাকর্মী এসব হামলার জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটকে দায়ী করে নিন্দা ও ক্ষোভ জানান। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী খ্রিস্টান দল সভাপতি রনি গোমেজ, মহাসচিব ডমিনিক বৈরাগি, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি অধ্যাপক শওকত আলি, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মুক্তিযুদ্ধে নবম সেক্টরের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব ক্যাপ্টেন (অব.) শচীন কর্মকার দেশপ্রেমিক জনতাকে থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিরোধ গড়তে সংগ্রাম পরিষদ গঠনের আহবান জানান। এছাড়াও বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
যুগান্তর, ১৩ অক্টোবর ২০০১