উত্তরাঞ্চলের শান্ত জেলা নীলফামারী যেন দিন দিন অশান্ত হয়ে উঠছে। গত ১০ অক্টোবর গভীর রাতে এলাকার সংখ্যালঘুদের ওপর হুমকি এবং নৌকায় ভোট দেয়া ও নৌকার পক্ষে প্রচারণা কাজে সক্রিয় থাকায় অনেকে হামলার শিকার হয়েছে। এমনকি জলঢাকা উপজেলা শহরে কালীমন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় এখানকার হিন্দু সম্প্রদায় তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন করবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটি জানায়, ২২অক্টোবর থেকে পূজা শুরু হবে। কিন্তু যেভাবে হুমকি-ধমকি চলছে তাতে তারা পূজা বর্জন করতে পারে। তবে ১৯ অক্টোবর পূজা কমিটির বৈঠকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এ জেলায় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে কিনা। জয়পুরহাট থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, সদর উপজেলার পাতুরিয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন এক মন্দিরে দুর্গাসহ কয়েকটি প্রতিমা ভেঙে ফেলার পর সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ ও তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। মূর্তি যারা ভাংচুর করেছে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে গত দুই সপ্তাহে জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আযমারসুলপুর ইউনিয়নের মালিদহ ও আগাইর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন রাত জেগে পাহারা দেয়া সত্ত্বেও মালিদহ গ্রামের রমণী মোহন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের আরও দু’জনের বাড়িতে বিষ্ঠা (মল) ঢেলে দেয়া হয়েছে। আগাইর গ্রামে দুর্গা প্রতিমা ভেঙে ফেলতে পারে-এ আশঙ্কা করছে ঐ গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়।
দৈনিক জনকন্ঠ, ১৫ অক্টোবর ২০০১