ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়ন-এর আজিমনগর গ্রামে নির্যাতনের শিকার এক সংখ্যালঘু পরিবারের প্রতি নির্যাতনকারী মহল প্রাণনাশসহ নানা প্রকার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। হুমকি দিয়ে ঐ পরিবারটির কন্যা কলেজ ছাত্রীকে উপর্যুপরি ধর্ষণের ঘটনাও অস্বীকার করতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ভাঙ্গার বিভিন্ন মহল এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। ৬ অক্টোবর সংখ্যালঘু পরিবারটির ওপর বর্বরতম নির্যাতন চালায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন এর ভাই হাবিব ও তার সহযোগী সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা ঐ বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাট চালিয়ে বাড়ির কলেজ পড়ুয়া কন্যাকে মায়ের সামনেই উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। ঘটনার পর থেকে নির্যাতনকারী মহল প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন-এর নেতৃত্বে ধর্ষণ ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তৎপর। সোমবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী জানান, নির্যাতনকারীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। তারা নির্যাতিত পরিবারটিকে প্রাণনাশসহ নানা প্রকার হুমকি প্রদান করছে। অন্যদিকে মেয়েটিকে বিয়ে দিতে হবে, লোকলজ্জা ও সামাজিক কারণেও তারা ধর্ষণ ঘটনাটি চেপে যেতে বাধ্য হচ্ছে। মেয়েটির বাবা-মা ঐদিন তাদের বাড়িতে হামলা ও নির্যাতনের কোন ঘটনাই ঘটেনি বলে জানালেও আত্মীয়- স্বজনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ধর্ষণ বাদে হামলা, মারপিট, ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা স্বীকার করেছেন। মেয়েটি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারি গ্রামের আত্মীয়দের আশ্রয় থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে আসেনি। ভাঙ্গার বিভিন্ন মহল ঘটনাটির তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ভোরের কাগজ, ১৯ অক্টোবর ২০০১