সারাদেশে অনাড়ম্বর দুর্গাপূজা উদযাপনের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের ভয়ভীতি প্রর্দশনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। আজকের কাগজের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন অনুসারে নরসিংদী শহরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দীর একটি কালী মন্দিরে মূর্তি ভাংচুর, শ্রীপুরের কাওরাইলে পূজামণ্ডপ বানানোয় বাধা দেয়ার ঘটনা জানা গেছে। নরসিংদী থেকে বেনজির আহমেদ বেনু জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে নরসিংদী শহরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দীর শ্মশানের কালী বাড়ির মূর্তি ভাংচুর হয়েছে। জানা গেছে, শুক্রবার রাতে দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের পর হিন্দু ভক্তরা বিশেষ প্রার্থনা শেষে প্রতিদিনের মত ওই মন্দির তালাবদ্ধ করে বাড়ি চলে যায়। গভীর রাতে কে বা কারা মন্দিরের কলাপসিবল গেইট ভেঙে শ্রী শ্রী শীতলা দেবীর মূর্তি ভাংচুর করে এবং এর ভগ্নাংশগুলো পাশের গর্তে ফেলে রেখে চলে যায়। এ ব্যাপারে মন্দিরের পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তা ডা: চিত্তরঞ্জন মালাকার বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মূর্তির ভগ্নাংশ গুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ভেতর চরম আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। শ্রীপুর সংবাদদাতা জানান, এই উপজেলার কাওরাইল ইউনিয়নে নির্বাচন-পূর্ব ও উত্তর রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে সংখ্যালঘুরা কোন পূজা মণ্ডপ বানাতে পারেনি। এখানে যে কোন রাজনৈতিক সহিংসতায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্যান্য বছর এই ইউনিয়নে প্রতি বছর ৪টি পূজামণ্ডপ হলেও এ বছর ১টি পূজামণ্ডপও হয়নি। শ্রীপুরে ৩২টি পূজামণ্ডপে আনসার ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বিশেষ নিরাপত্তায় ২৬ তারিখ প্রতিমা বির্সজনের মধ ̈দিয়ে পূজা উদযাপন শেষ হয়। অনাড়ম্বরভাবে উদযাপিত এ উৎসবে কোন ধরনের মাইক না বাজানো ও মানব বন্ধন ছিল পূজা উদযাপনের ব্যতিক্রম দিক।
আজকের কাগজ, ২৮ অক্টোবর ২০০১