৫টি জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় ২৯ হাজার ৯০০ সদস্য ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে কুমিল্লা, নাটোর, চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহ, বগুড়া এবং পাবনা। সংবাদপত্রের রিপোর্টের ভিত্তিতে একটি এনজিওর তদন্ত পরিসংখ্যানে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা থেকে ১০ হাজার, নাটোর থেকে ১২ হাজার, চট্টগ্রাম থেকে ৫ হাজার, ঝিনাইদহ থেকে ৫’শ, বগুড়া থেকে ৫’শ ৫০ এবং পাবনা থেকে ৪’শ সংখ্যালঘু ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া নয়টি জেলায় প্রায় ৩৩টি মন্দির ভাংচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ৪টি, জামালপুরে ৩টি, চট্টগ্রামে ২টি, বগুড়ায় ২টি, পাবনায় ৩টি, কুমিল্লায় ৩টি, এবং বরিশালে ৪টি মন্দির। নির্বাচনের পর ৫ জেলায় প্রায় ২১৮ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সংবাদপত্রের বরাতে, সন্ত্রাসীদের হাতে ৮ থেকে ১২ বছরের বালিকাও রেহাই পায়নি। অন্যদিকে সামাজিক সমস্যা এবং পুনরায় নির্যাতনের ভয়ে অধিকাংশ ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়নি। ধর্ষণের অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে ভোলা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, আগৈলঝাড়া এবং সিরাজগঞ্জ, পাবনা এবং বরিশালের গৌরনদীতে। স্থায়ী রিপোর্টে বলা হয়, পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে ধর্ষণের প্রভৃতি সংখ্যা নিরূপন করা সম্ভব হয়নি। গত ১ অক্টোবর নির্বাচনের পর ৬টি জাতীয় দৈনিকের সংবাদের ভিত্তিতে এনজিওটি এ রিপোর্ট তৈরি করে।
বাংলাদেশ অবজারভার, ৬ ডিসেম্বর ২০০১