নোয়াখালী জেলা শহরে বিয়ের প্রলোভনে ৮ মাস ধরে ধর্ষণ করেছে অফিসের মহিলা কর্মচারীকে। বিয়ে করতে অস্বীকার করায় সুধারাম থানায় অভিযোগ করার ১৮ দিন পার হলেও থানা কোনো আইনগত ব্যবস্থা বা মামলা গ্রহণ করেনি। ভিকটিম (২০) জানায়, নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদী বাজারের মনোয়ারা প্লাজার তৃতীয় তলায় অবস্থিত বিদেশী পণ্য বাজারজাতকরণ একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত ভিকটিম (২০)। চাকরিরত অবস্থায় অফিসের কর্মকর্তা কামরুল হাসান শিমুলের সাথে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সম্পর্কের সুবাদে কামরুল হাসান তাকে বিয়ের প্রলোভন র্দেখিয়ে ১লা এপ্রিল অফিসের ভিতর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর সে কান্নাকাটি করলে অফিসের অন্য কর্মকর্তা নুর হোসেন এর মধ্যস্থতায় কামরুল তাকে বিয়ের আশ্বাস দেয়। এরপর থেকে প্রতিদিন কামরুল হাসান, নুর হোসেনের সহায়তায় তাকে যৌন উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে অফিসের ভেতরই ১লা এপ্রিল থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত দিনে ২/৩ বার করে ধর্ষণ করতো। ১৮ই নভেম্বর পর্যন্ত সে নুর হোসেনের সামনে কামরুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কামরুল তাকে মারধর করে নুর হোসেনের সহায়তায় অফিস থেকে বের করে দেয়।
এরপর ভিকটিম ১৮ই নভেম্বর দুপুর ১২টায় সুধারাম থানায় এসে কামরুল হোসেন হাসান ও নুর হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ধর্ষণের সহায়তা, অবৈধভাবে যৌন উত্তেজক ওষুধ বাজারজাতকরণ ও বিক্রির অভিযোগ এনে অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে জানালেও ১৮দিন পরও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে ভিকটিম জানায়, এদিকে কামরুল হাসান ও নুর হোসেনের লোকজন ভিকটিমকে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা কখনও টাকার লোভ দেখাচ্ছে, কখনও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ ভয়ে ভিকটিম এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সুধারাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল বাতেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নেতৃস্থানীয়রা আপস মীমাংসা করে দিবে বলায় মামলা রের্কড করা হয়নি। প্রয়োজনে ভিকটিমকে ডেকে মামলা রের্কড করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।