ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় হাফেজিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে (১৪) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ করেছে তিন ধর্ষক। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সদর উপজেলার বোরর চর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন বুধবার সকালে ওই তিন ধর্ষক মাদ্রাসাছাত্রীকে গাড়িতে তুলে দেয়। পরে ওইদিনই ভিক্টিমকে তার বাবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাতালে ভর্তি করেন।

নির্যাতনের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রী জানান, মঙ্গলবার বিকালে বোরকা কিনতে মুক্তাগাছায় যাই। বোরকা কেনার পর বাড়িতে ফেরার জন্য সিএনজি খোঁজার সময় পূর্বপরিচিত ওবায়দুলের সাথে দেখা হয়। ওবায়দুল আমাকে বলে আমিও যাব বলে সিএনজিতে উঠতে বলে। সিএনজিতে কালো বোরকা পড়া একজনকে দেখে আমিও সিএজিতে ওঠি।
পরে সিএনজিটি ভিন্নপথে চলতে শুরু করলে আমি চিৎকার শুরু করি। এ সময় বোরকা খুলে এক যুবক আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলে চিৎকার করলে মেরে ফেলব। পরে আমাকে বোরর চর ইউনিয়নে নির্জন একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে আমাকে শাকিল, ওবায়দুল, নাঈম পালাক্রমে ধর্ষণ করলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরদিন সকালে ওই তিনজন আমাকে একটি গাড়িতে তুলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে গিয়ে মা-বাবার কাছে সব কিছু খুলে বললে তারা আমাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভিক্টিমের বাবা বলেন, আমার মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে বোরকা কিনতে মুক্তাগাছায় গেলে শাকিল, ওবায়দুল, নাঈম আমার
মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে। আমি ওই তিনজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যেন আর কেউ এমন কাজ করতে সাহস না পায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাকের আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে তাদের নাম ঠিকানা বলেননি তিনি।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, সদর থানা থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে মুক্তাগাছা বা কোতোয়ালী যে কোনো থানাতেই মামলা করা যাবে। মামলা করলে আমরা এ ঘটনার সুবিচার নিশ্চিত করব।

বিডি প্রতিদিন

মন্তব্য করুন