ফেনীর শর্শদী ইউনিয়নে মসজিদ কমিটিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ৩ জুলাই শুক্রবার তাদেরকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদেরকে কোরআনে হাফেজ ও স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদের ইমাম বলে জানায়। এ ঘটনায় ফেনীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

 

ক্ষতিগ্রস্ত হাবিব মিয়াজী জানান, তার বাবা খোরশেদ আলম স্থানীয় বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর স্থানীয়রা গনমাধ্যমকর্মী হাবিব মিয়াজীকে সভাপতির দায়িত্ব দেন। এতে একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়। সম্প্রতি মসজিদের ইমাম নিয়োগ নিয়ে দুপক্ষের মতবিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২২ জুন দিবাগত রাতে হাবিব মিয়াজীর বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময় তার বসৎ ঘরের নিচতলায় থাকা একটি মোটরসাইকেল, বৈদ্যুতিক বোর্ড ও পানির লাইন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরদিন সকালে ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরনবী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ফেনীর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এএন নুরুজ্জামান জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই মোতাহার হোসেন এ ঘটনার তদন্ত করে শুক্রবার রাতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছেন, দক্ষিণ আবুপুর মিয়াজী বাড়ির রুহুল আমিন মাস্টারের ছেলে মো. আশরাফ আলী রুমন (৩২), একই বাড়ির মাওলানা জিয়াউল হকের ছেলে মো. আবুল কাশেম ফোরকান (৩৮) এবং ভূঞা বাড়ির মনির আলীর ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম বাবলু। আটককৃতরা সবাই কোরআনে হাফেজ এবং স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদে ইমামের দায়িত্বে রয়েছেন।

৪ জুলাই শনিবার এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, গত ২২ জুন শর্শদী ইউনিয়নে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় আটককৃতরা জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, রুমন অগ্নি সংযোগের মূল পরিকল্পনা করে। ফোরকান ঘরের ভেতরে অগ্নি সংযোগ করে এবং বাবলু পেট্রল সংগ্রহ করে অপর দুই আসামিকে নিয়ে নিজের মোটরসাইকেল যোগে মিয়াজী বাড়িতে অগ্নি সংযোগে অংশ নেন। পরে তাদেরকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালতের নিকট সমর্পন করা হয়।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন