কক্সবাজারের আলোচিত ‘ঈদগাহ-ঈদগড়-বাইশারি’ সড়কে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের শিল্পী জনি দে (১৮)। ৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে সড়কের ঈদগাহ ইউনিয়নের হিমছড়ি ঢালা (পাত্তারা) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

জনি রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের চরপাড়ার তপন দের ছেলে। তিনি ঈদগাহ ফরিদ আহমদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক শাখার শিক্ষার্থী ছিলেন।

এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান বলেন, গুলিতে ওই কণ্ঠশিল্পীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দোষীদের ধরতে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ডাকাতের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

পুলিশ ও জনির সঙ্গে থাকা তাঁর বাবা তপন দে জানান, গতকাল বুধবার রাতে জেলার চকরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন জনি দে। আজ সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে জনি ও তাঁর বাবা চকরিয়া থেকে বাড়ির পথে রওনা হন। সকাল আটটার দিকে অটোরিকশাটি ঈদগাহ-ঈদগড়-বাইশারি সড়কের হিমছড়ি ঢালায় পৌঁছালে মুখোশধারী কয়েকজন গাড়িটির গতিরোধ করেন। এরপর জনিকে গুলি করে তাঁরা জঙ্গলে চলে যান।

নিহত জনির বাবা তপন দের ভাষ্য, মুখোশধারী ব্যক্তিরা কাউকে কিছু না বলে শুধু জনিকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে গুলি করেন। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত হলে তাঁরা জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যান। তাঁর সন্দেহ, এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ, দুর্বৃত্তরা তাঁকে (বাবা) ও অটোরিকশা চালককে কিছু বলেননি বা তাদের সঙ্গে কিছু করেননি।

পারিবারিক সূত্র জানায়, জনি বাড়ি থেকে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান পরিবেশন করে টাকা উপার্জন করতেন। এলাকায় তাঁর বেশ জনপ্রিয়তাও আছে। এলাকায় কারও সঙ্গে জনির শত্রুতা নেই।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গীয়াস বলেন, সড়কের নিরাপত্তা রক্ষায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের ধরার চেষ্টা চলছে।

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন