ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেওয়া লংমার্চটিতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়নসহ বাম ছাত্র জোটের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, হামলাকারীরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য বলে অভিযোগ লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শেষে লংমার্চটিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় লংমার্চের প্রায় ছয়টি গাড়ি ভাংচুরেরও অভিযোগ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে।
এ হামলায় ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী নোবেল, সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়, আসমা আক্তার, ইমা, রাপিদা, দিপা ফাহমিদাসহ বেশকয়েকজন গুরুতর আহত হন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে থেকে দাবি করা হয়েছে।
লংমাচে অংশ নেওয়া বাম ফ্রন্টের সমন্বয়ক আব্দুলাহ আল কাফি রতন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “সকাল ১০টার দিকে আমরা ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু করি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সমাবেশ শেষ আমরা যখন বেগমগঞ্জের উদ্দেশে বাসে উঠতে যাই, তখন একদল যুবক, যারা, ছাত্রলীগ-যুবলীগের, তারা আমাদের উপরে অতর্কিতে হামলা করে। তাদের সঙ্গে পুলিশও যোগ দেয় হামলায়।”
এসময় পুলিশ নিশ্চুপ ছিল বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল। তিনি বলেন, “বেগমগঞ্জের উদ্দেশে লংমার্চে অংশ নেওয়া কমপক্ষে ২০-২৫ জন কর্মী এ ঘটনায় আহত হয়েছে।” সরকার সমর্থিত একটি দলের (ছাত্রলীগ ও যুবলীগ) সদস্যদের এ হামলায় গুরুতর আহত কমপক্ষে ৭ জন কোনওরকম চিকিৎসা পাননি বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে এই অভিযোগের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ হামলাকারীদের তাড়া করেছে ও লাঠিচার্জ করে।” লংমাচকারীদের কর্মসূচি পালনে পুলিশ সবধরনের সহায়তা করেছে বলেও জানান তিনি।