দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা, হামলা-নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। বগুড়ার গ্রামাঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রয়েছে। পটুয়াখালী-৪ আসনের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও পুলিশী একচোখা ভূমিকার প্রতিবাদে শনিবার কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এক সাংবাদিক সম্মেলনকরেছে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, তাড়াশ,কাজীপুর, বেলকুচি ও সদর উপজেলার গ্রামাঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে। টাঙ্গাইলের গ্রামে গ্রামেও সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন অব্যহত রয়েছে। ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনোত্তর সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরসহ মৌলবাদী সমর্থকরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালাচ্ছে। বগুড়া থেকে নিজস্ব সংবাদাতা জানান, বগুড়ার গ্রামাঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি চলছে। এ অবস্থায় অনেক এলাকার সংখ্যালঘুরা এলাকা ত্যাগ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি সমর্থিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এসব অপতৎপরতার জন্য প্রশাসনকে জোরালো ব্যবস্থা নেবার দাবী জানিয়েছে। সিরাজগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, শাহজাদপুরের নরিনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে কথিত ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভারতে’ চলে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাড়াশের কুসম্বি, নওগাঁ এলাকায় সংখ্যালঘুরা বাড়ী ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
দৈনিক জনকণ্ঠ, ৭ অক্টোবর, ২০০১