কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে তিন জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে। ওই এএসআইয়ের নাম সৌমেন রায়। পুলিশ তাকে আটক করেছে।

 

নিহতরা হলেন—আসমা (২৫), তার ছেলে রবিন (৭) ও বিকাশ এজেন্ট শাকিল। আজ বেলা পৌনে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস অফিসের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

আসমার মা ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সৌমেনের সঙ্গে আসমার বিয়ে হয়েছিল। তারা কুষ্টিয়া শহরে থাকতেন। রবিন আসমার আগের সংসারের ছেলে।

শাকিলের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নাটুরিয়া গ্রামে। তিনি বিকাশের স্থানীয় একজন এজেন্ট। আসমার বাড়িও ওই গ্রামেই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসমা কাস্টমস মোড়ে তার শিশুপুত্রকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন শাকিল। তারা দাঁড়িয়েই কথা বলছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন এএসআই সৌমেন। তারা কথা বলছিলেন। হঠাৎ সৌমেন খুব উত্তেজিত হয়ে পিস্তল দিয়ে আসমার মাথায় গুলি করেন। এরপর তিনি শাকিলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন। শিশু রবিন দৌড়ে পালিয়ে পাশের মসজিদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে তাকে ধরে এনে মাথায় গুলি করা হয়। শিশুটিও ঘটনাস্থলে মারা যায়।

মোড়ে উপস্থিত লোকজন ছুটে গেলে সৌমেন পালানোর চেষ্টা করেন। ধাওয়া খেয়ে তিনি পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েন। উত্তেজিত জনতা ওই বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারে। এর মধ্যে খবর পেয়ে পুলিশ সৌমেনকে গ্রেপ্তার করে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ওই এএসআইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি খুলনার ফলতলা থানায় কর্মরত বলে জানা গেছে। তার বাড়ি মাগুরা জেলায়। তিনি একসময় কুষ্টিয়ার একটি ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।

আসমার মা হাসিনা বেগম জানান, তার মেয়েকে সৌমেন বিয়ে করেছিল। বিয়ের কথা আসমা তাকে অনেকবার বলেছিল।

দ্য ডেইলি স্টার

মন্তব্য করুন