খুলনার তেরখাদা উপজেলায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্য রেজাউল শিকদার। ১৫ সেপ্টেম্বর  মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (ঙ অঞ্চল) জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। স্বীকারোক্তি শেষে রেজাউলকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি চলতি দায়িত্ব) স্বপন কুমার রায় জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ১১টার দিকে চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া ওই শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।

বিকেলে পুলিশ রেজাউল শিকদারকে গ্রেপ্তার করে। তিনি নাটোর পুলিশ লাইনে কর্মরত। সম্প্রতি রেজাউল ছুটিতে বাড়িতে যান।

ওসি জানান, আদালতের সামনে নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় রেজাউল শিকদারকে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়নি।
শিশুটি বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। ওসিসির সমন্বয়ক চিকিৎসক অঞ্জন কুমার চক্রবর্তী বলেন, শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে। শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে।

ওই শিশুর বাবা গতকাল প্রথম আলোকে বলেছিলেন, রেজাউল পুলিশের একজন কনস্টেবল। নাটোরে চাকরি করেন। বছর তিনেক হয়েছে চাকরি পেয়েছেন। এখন ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। তাঁর মেয়ে রেজাউলের বাড়ির পাশের ঘেরের পাড়ে বেলা ১১টার দিকে কদম ফুল পাড়তে যায়। সে সময় ফুল পাড়তে সহায়তার কথা জানান রেজাউল। পরে তিনি ফুসলিয়ে মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়ে বাড়িতে এসে তার মাকে সব ঘটনা খুলে বলে।

দৈনিক প্রথম আলো

মন্তব্য করুন