টাঙ্গাইলে সাবেক দুই স্বামী এবং তাদের সহযোগীরা মিলে এক গৃহবধূকে (৩২) দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে। আর এতে সহযোগিতা করেছেন ওই গৃহবধূর মা নিজেই।
এমন অভিযোগ তুলে মা অজুফা খাতুনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ১৯ মে মঙ্গলবার রাতে জেলার সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই নারী। এ ঘটনায় রাতেই মা অজুফা খাতুন এবং সাবেক দুই স্বামী আবদুল কাদের (৫৫) এবং আবদুর রহমানকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২০ মে বুধবার বুধবার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে গৃহবধূকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আবদুল কাদেরের) বাড়ি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে এবং আবদুর রহমানের বাড়ি উপজেলার কচুয়া গ্রামে।
পুলিশ জানায়, ১৮ মে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মা অজুফা খাতুন তার মেয়েকে (ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ) কবিরাজ বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে উপজেলার কীর্ত্তণখোলা ধুমখালি বেইলি ব্রিজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে মোটরসাইকেল যোগে হেলমেটপড়া দুই যুবক আসলে মা কৌশলে মেয়েকে (গৃহবধূ) তাদের হাতে তুলে দেন। পরে তাকে পৌর শহরের একটি পরিত্যক্ত দোকান ঘরে আটকে রেখে তার সাবেক দুই স্বামী আবদুল কাদের (৫৫) ও আবদুর রহমানসহ (৩৯) পাঁচজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষকরা তাকে রেখে পালিয়ে যায়। রাত ১টার দিকে বিবস্ত্র অবস্থায় তিনি পাশের একটি বাড়িতে গেলে ওই বাড়ির লোকজন তাকে কাপড় পরিয়ে দেন। পরে তার বর্তমান স্বামীকে খবর দিলে তিনি স্ত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির উদয় বলেন, গৃহবধূর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধর্ষণে সহযোগিতা করায় মা অজুফাকে এবং সাবেক দুই স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।