নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গণ্ডা ইউনিয়নের বৈরাটি গ্রামের একটি মক্তবে তারাবির নামাজ আদায়ের সময় মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় মক্তবের মুয়াজ্জিন নুরুল হক, মুসল্লি আব্দুর রশিদ ও রাকিবুল ইসলাম সাদ্দাম নামে এক যুবকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত সাদ্দামকে (২২) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

এদিকে মক্তবে হামলার পর হামলাকারীরা গ্রামের কয়েকটি বাড়িঘরেও হামলা এবং লুটপাট চালিয়েছে। ভাংচুর করেছে একটি অটোরিকশাও।

জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ধান শুকানোর জায়গার ওপর দিয়ে মাড়াইয়ের মেশিন নেয়াকে কেন্দ্র করে বৈরাটি গ্রামের আব্দুর রউফের সঙ্গে হামিদুল ইসলাম ও তার লোকজনের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে হামিদুল ও তার লোকেরা গত বুধবার আব্দুর রউফ, তার স্ত্রী ও মাকে মারপিট করে। এ ঘটনায় আব্দুর রউফ বাদী হয়ে হামিদুল ও তার দুই ছেলেসহ কয়েকজনকে আসামি করে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ হামিদুলের ছেলে টিটু মিয়াকে গ্রেফতার করে। টিটুকে গ্রেফতারের পরপরই হামিদুল ও তার লোকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে গ্রামের মক্তবে তারাবির নামাজ আদায়ের সময় প্রতিপক্ষের ওপর অতর্কিতে হামলা ও বাড়িঘরে লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা থেকে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানতে চাইলে কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। টিটু মিয়াকে শুক্রবার বিকালে নেত্রকোনা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন