বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বই বিপণী প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশনা সংস্থা ‘বাতিঘরের’ বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের হয়েছে। ১২ আগস্ট বুধবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আমীনের আদালতে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকার বাসিন্দা রূপায়ণ কান্তি চৌধুরী মামলাটি দায়ের করেন।

 

 

রবিবার (১৬ আগস্ট) এ বিষয়ে আদালতের আদেশ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী প্রতীত বড়ুয়া।

বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘বুধবার মামলা দায়েরের পর আদালত আজ মামলার আরজি গ্রহণ করেছেন। পিবিআইকে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- বাতিঘরের স্বত্বাধিকারী দীপংকর দাশ (৪৫) এবং লেখক সালেহ আহমেদ মুবিন (২৮)।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, লেখক সালেহ আহমেদ মুবিন ‘লোশক’ নামে একটি বই লিখেছেন। এ বইয়ে বৌদ্ধ ধর্ম এবং এর প্রবর্তক ও প্রচারক গৌতম বুদ্ধের বিরুদ্ধে মানহানিকর বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া বইটিতে বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। আর ওই বইটি বিক্রির জন্য গত ১০ আগস্ট দীপংকর দাশ বাতিঘরের ফেসবুক পেইজে একটি ‘বিজ্ঞাপন’ প্রকাশ করেন। এর মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতিনীতি ও আচার-আচরণকারীদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে এবং ১০ কোটি টাকার ‘মানসম্মানের ক্ষতি’ হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০১ ও ৫০৪ ধারায় মামলার আরজি গ্রহণের জন্য রূপায়ণ কান্তি চৌধুরী আদালতে আবেদন করেন। আদালত আজ আরজি গ্রহণ করে পিবিআইকে মামলা তদন্তে নির্দেশ দেন।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন