বরগুনার তালতলী উপজেলার মেনিপাড়া এলাকায় রাতের আঁধারে স্বামী পরিত্যক্তা এক বৃদ্ধাকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয় দেখিয়ে বজলু হাওলাদার (৪০) নামে এক ব্যক্তি ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

২৭ মে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

সূত্রে জানা গেছে, স্বামী পরিত্যক্তা ওই বৃদ্ধা উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মেনিপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। গত ৩ মাস ধরে একই এলাকার মো. সেকান্দার হাওলাদারের পুত্র বজলু হাওলাদার (৪০) ওই বৃদ্ধাকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিল। আনুমানিক ১০/১২ দিন পূর্বে বজলু হাওলাদার বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। মানসম্মানের ভয়ে বিষয়টি বৃদ্ধা এতদিন কাউকে বলেনি। গতকাল বুধবার রাত অনুমান ১টার দিকে বজলু হাওলাদার ফের ওই নারীর ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী পাশের ঘরের লোকজন ও স্থানীয়রা বৃদ্ধার ঘর থেকে বজলুকে আটক করে তালতলী থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় আটক বজলু হাওলাদারের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে ওই এলাকার বিভিন্ন মানুষ অভিযোগ করে বলেন, আটক বজলু হাওলাদারের হাত থেকে স্কুলছাত্রী, গৃহবধূ কেউ রক্ষা পায়নি। পরকীয়াসহ বিভিন্ন অপকর্মের জন্য গত বছর তার বউ বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে তারা জানায়।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান মিয়া মুঠোফোনে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়ায় আটক বজলুর বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৮ মে শুক্রবার ভিকটিম বৃদ্ধাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন