বরগুনায় এক মাদ্রাসা ছাত্রকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এক রাত এক দিন নির্যাতনের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
১২ বছর বয়সী এই শিশু হেউলিবুনিয়া মৃধাবাড়ি হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
শিশুটির বাবা সাংবাদিকদের বলেন, মাদ্রাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার কারণে মাদ্রাসার মারুফ হোসেন নামে এক শিক্ষক তার ছেলেকে এক রাত এক দিন ‘শিকলে বেঁধে’ নির্যাতন করেছেন।
“শিশুটির কান দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। ডানহাত নাড়াতে পারছে না। সর্বশরীর পিটিয়ে ও পায়ের তলায় পিষ্ট করে থেঁতলে দিয়েছে।”
শুক্রবার সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করেছে বলে তিনি জানান।
বরগুনা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মাজহারুল ইসলাম বলেন, “শিশুটির শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।”
বরগুনা থানার ওসি তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে বরগুনা থানায় মামলা হয়েছে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজা মিয়া বলেন, “ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও ছাত্রদের নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তাকে প্রত্যাহার করা হবে।”
মাদ্রাসার হাফেজ জাবের হোসেন বলেন, “মারুফ হোসেন ঘটনার পরপরই পালিয়েছেন।”