বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের গরিয়ারপাড়ের তেঁতুলতলায় বাস ও মাহেন্দ্র সংঘর্ষে বিএম কলেজের ছাত্রীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নগরীর গরিয়ারপাড় এলাকাধীন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের তেঁতুলতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে বরিশাল সদর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. ইউনুস আলী জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- শীলা হালদার (২৪), মানিক সিকদার (৪০), খোকন (৩৫), সোহেল (২৫) ও ৫০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত নারী।
নিহত শীলার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি। তিনি বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের মাস্টার্সের গণিত প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার ইউনুস আলী জানিয়েছেন, মাহেন্দ্রটি যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে বানারীপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে গড়িয়ারপাড় এলাকাধীন তেঁতুলতলা নামক স্থানে স্বরুপকাঠি থেকে বরিশালগামী দুর্জয় পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মাহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে মাহেন্দ্রটি দুমড়ে মুচড়ে রাস্তার পাশে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই কলেজছাত্রী শীলার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যান।
এসময় জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মানিক ও খোকনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহেন্দ্রচালক সোহেল ও ৫০ বছর বয়সী অজ্ঞাত নারী মারা যান।
আহত অন্যদের হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতরা হলেন- দুলাল হাওলাদার (৩৫), তন্নি আক্তার (১৭), শিশু তাইয়ুম (৭), তার মা পারভীন বেগম (৩০), সুমন (২৫) ও সাত বছর বয়সী এক শিশু।
বরিশাল নগরীরর বিমানবন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল জানান, দুর্ঘটনায় কবলিত বাসটি রাস্তার ওপরে পড়ে থাকায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে আধা ঘণ্টার মতো যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিস বাসটি উদ্ধার করলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তবে বাসচালাককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাস ও মাহেন্দ্রটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানান ওসি।