রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকার মুরাদপুরে এক গার্মেন্টস কর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। মামলায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করলেও অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।

 

আটককৃত আসামিরা হলো মো. মেহেদী হাসান (১৯) ও মো. সোহাগ হোসেন (২০)।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন জানান, উনিশ বছর বয়সী ওই গার্মেন্টস কর্মী যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকেন। এলাকারই একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন তিনি। গত মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় আকাশ (২০) নামে পূর্ব পরিচিত এক যুবক মোবাইল ফোনে তাকে ডেকে নেয়। এরপর সেখান থেকে মুরাদপুরের একটি বাড়ির ছাদে নিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

ঘটনার পরপরই ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে রাতেই ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ৬ জনের নামে একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাকি ৪ আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে বলেন, বুধবার (২৮ জুলাই) মধ্যরাতে ওই গার্মেন্টস কর্মীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। আটককৃত আসামিদেরকে কোর্টে চালান করা হয়েছে।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন