রাজশাহীর বাঘায় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ধর্ষণের অভিযোগে ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে কলেজছাত্রী বাদী হয়ে শহিদুল ইসলাম (৩১) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

শহিদুল ইসলাম উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।

জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে শহিদুল ইসলাম (৩১) নামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং বিয়ের আশ্বাস দেন শহিদুল ইসলাম। এক পর্যায়ে ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। তারপর শাহিদুলকে বিয়ের কথা বললে টালবাহনা করতে থাকে।

ওই কলেজছাত্রী নিরুপায় হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে শহিদুলের বাড়িতে গিয়ে উঠে। এ সময় শহিদুল বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় শহিদুলের অনুপস্থিতিতে তার পিতা-মাতা বেদম মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রী মামলা করেন।

কলেজছাত্রীর সঙ্গে ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কের কারণে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নস্থানে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। কলেজছাত্রীকে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রেরণ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন