বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী একটি লঞ্চের কেবিনে এক তরুণীকে রাতভর ধর্ষণ করে মাইদুল ওরফে মাসুম নামের এক যুবক।  শনিবার রাতে বরিশাল-ঢাকা রুটের একটি লঞ্চে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সোমবার ওই তরুণী মাসুমের নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

 

অভিযোগে তরুণী জানিয়েছেন, বড়বোন তাকে হিজলা থেকে রাজহংস-১০ লঞ্চে তুলে দেন। ওই দিন একই এলাকার মাসুমও ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তখন মাসুমকে দেখতে পেয়ে বড়বোন তাকে খেয়াল রাখতে বলেন। কিন্তু লঞ্চ ছাড়ার পরে গভীর রাতে মাসুম এসে তরুণীকে বিছানাসহ কেবিনে নিয়ে যায়।

রাতে আলাপচারিতার একপর্যায়ে তরণীকে মাসুম বিবাহ করাসহ তার নামে অর্ধনির্মিত ভবন লিখে দেওয়ার প্রস্তাব করে। কিন্তু এতে তরুণী সম্মত না হলে একপর্যায়ে জবরদস্তি শুরু করে এবং ওই রাতে কয়েক দফা তরুণীকে লঞ্চের কেবিনে মাসুম ধর্ষণ করে। পরে তরুণী কান্নাকাটি করলে তাকে গ্রামে গিয়ে বিয়ে করার ফের প্রস্তাব দিলেও সোমবার সকালে লঞ্চটি ঢাকায় পৌঁছলে মাসুম লাপাত্তা হয়ে যায়।

তরুণীর অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার তরুণী গ্রামে ফিরে আসে এবং সোমবার থানায় একটি অভিযোগ করেন।

তরুণী অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, গ্রামে ফিরে মাসুমের বাসায় গিয়ে তার বাবা খলিল হাওলাদারকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি সব শুনে চুপ থাকতে বলেন এবং ধর্ষণের সাজা হিসেবে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে তাড়িয়ে দেন।

কাজীরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে মাসুম স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, সেই রাতে তরুণী তার কেবিনে থাকলেও আলাপচারিতা ব্যতীত কিছুই হয়নি।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন