সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে পাইকোশা গ্রামে ১৬ বছরের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সুলতান মাহমুদ (৫৫) নামে এক মুদী দোকানদারের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত সুলতান মাহমুদ ওই কিশোরীর পাশের বাড়ীর হযরত মওলানার ছেলে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করার কারণে থানায় মামলা করতে পারেনি কিশোরীর পরিবার।
নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগ, ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে কিশোরী বাড়ির বাইরে খেলা করছিলো। এসময় বাড়ির পার্শ্ববর্তী মুদী দোকানদার সুলতান মাহমুদ তাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। ঘরের মধ্যে নিয়ে ছাগলের রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এসময় ওই কিশোরী চিৎকার করলে ওড়না দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। পরে বাড়ি ফিরে এসে ঘটনাটি তার মা ও দাদাকে জানায়। এনিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। এতে সুলতান মাহমুদ গুরুতর আহত হয়ে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসা শেষে ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সে বাড়ি ফিরে আসে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় মামলা না করতে নিষেধ করা হয়। বিষয়টি সামাজিক ভাবে মীমাংসার কথা বলেন স্থানীয় মাতব্বররা।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের কোন অভিযোগ থানায় করা হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।