কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকাচর ইউনিয়নের আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার মফিজু্ল ইসলাম।

 

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন অর রশীদের সমর্থকরা হামলা চালায়। এসময় চল, টেঁটা হাতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। হামলায় আহত হয় শাওন, নাজমুল ও জের মিয়াসহ ৮/১০ জন। হামলার ঘটনায় ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি চালায় পুলিশ।

দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা জানান, আমিরাবাদ কেন্দ্রে সংঘর্ষে তিন জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকলেও পুনরায় চালুর চেষ্টা চলছে।

এরআগে উপজেলার পার্শ্ববর্তী মানিকারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের অভিযোগে স্থানীয় একটি মসজিদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন অর রশীদের সমর্থকরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এলাকাবাসীকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে আমিরাবাদ কেন্দ্রে হামলা চালায়। মসজিদে ঘোষণার ঘটনায় নাজমুল নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।

এরআগে একই উপজেলার চালিভাংগা ইউনিয়নে রামপ্রসাদের চর ভোট কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় প্রার্থীসহ আরও ৫ ব্যক্তি আহত হয়।

বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবিরের অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী লতিফ সরকারের কর্মী ও সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছেন। লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে তাদের জখম করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন