গাজীপুর শহরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকাকে ডেকে এনে বন্ধুদের নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে জানা গেছে।

 

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাতে শহরের গাছা থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে রাসেল হোসেন বাবুসহ (২৫) তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।

কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী পরিবারের সঙ্গে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে। সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা-মা পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। একই এলাকার রাসেল হোসেন বাবুর সঙ্গে দুই বছর আগে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মঙ্গলবার বিকেলে বাবু তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে একটি নির্জন স্থানে তাকে বাবু ও তার পাঁচ বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তারা ওই কিশোরীকে স্যাভলন খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। পরে হত্যায় ব্যার্থ হয়ে সন্ধ্যায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে বাসার সামনে ফেলে রেখে যায় তারা।

গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমসাইল হোসেন জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিক রাসেল হোসেন বাবু ওই কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে বাবুসহ তার পাঁচ সহযোগীকে অভিযুক্ত করে ৮ এপ্রিল বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ঢাকা ট্রিবিউন

 

মন্তব্য করুন