দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে টঙ্গী পশ্চিম থানায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার দুই জন হলো শেরপুরের নকলা উপজেলার কুওশা বাধাগুড়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে গোলাম রাব্বানী (২৯) ও টঙ্গীর আউচপাড়ার মো. সাগর (৩৫)।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকার ভাটারার এক তরুণীর (২০) সঙ্গে বছরখানেক আগে উত্তরার একটি মার্কেটে অভিযুক্ত সাগরের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৮ মে সকালে তরুণীকে টঙ্গীর আউচপাড়া মোক্তারবাড়ি সড়কের সবুর আলীর বাড়িতে নিয়ে যায় সাগর। গত ২৭ জুন পর্যন্ত বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই বাসায় আটকে রেখে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সাগর। একপর্যায়ে তরুণীকে বাসায় রেখে পালিয়ে যায়। সোমবার (১৯ জুলাই) টঙ্গী থানায় মামলা করেন তরুণী। পরে সাগরকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে নকলা উপজেলার এক তরুণী (২২) টঙ্গী পশ্চিম থানার খাঁ পাড়ায় বাসা ভাড়া থেকে শপিংমলে চাকরি করেন। দুই মাস আগে ওই এলাকার মার্কেটে সিলিং ফ্যান কিনতে গেলে গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
রবিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে তরুণীকে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করে রাব্বানী। পরে ওইদিন রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করলে রাব্বানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।