নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে একটি বেসরকারী স্কুলের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামী ধর্ষক মতিকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ৮ জুলাই দিনগত গভীর রাতে মতিকে গ্রেফতারের পরে শুক্রবার ৯ জুলাই তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ঘটনার ৩দিন পর বৃহস্পতিবার ৮ জুলাই ধর্ষিতার পরিবার ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ মামলা রেকর্ড করে ধর্ষককে গ্রেফতারে অভিযানে নামে।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষক মতি (৪৫) জামালপুর জেলা সদরের তারাগঞ্জ গ্রামের আফজাল মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে ফতুল্লার চাষাঢ়া রেললাইন এলাকায় বাবুল মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করেন। ধর্ষক মতি স্থানীয় দোকানদার সাত্তারের চাচাতো ভাই। শিশুটির বাবা মা দিন মজুরের কাজ করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, ধর্ষিতার বাবা মামলা দায়েরের পরে পুলিশ গ্রেফতার অভিযানে নামে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে ধর্ষক মতিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৫ জুলাই বিকেল ৪টায় একটি বেসরকারী স্কুলের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী ৮বছর বয়সী শিশু প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। এসময় রাস্তা থেকে শিশুটিকে ধরে মতি তার ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে যায়। এরপর ধর্ষণ শেষে শিশুটিকে সড়কে ছেড়ে দেয়। এঘটনায় শিশুটি তার প্রাইভেট শিক্ষিকাকে জানান। এরপর শিক্ষিকার কাছ থেকে শিশুটির বাবা মা জানতে পারেন।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি এই বাবুল মিয়ার বাড়িতে অবস্থিত জয়যাত্রা ক্লাব ও মাদক ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ওই বাবুল মিয়ার বাড়িতে মহিলা মাদক ব্যবসায়ী পারভীনও ভাড়া থেকে মাদক ব্যবসা করছে। গত তিনদিন ধরেই এলাকার প্রভাবশালীরা ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ধর্ষিতার পরিবারকে মোটা অংকের অর্থেরও প্রলোভন দেখায়। পরে মিমাংসা না হওয়ায় ধর্ষিতার পরিবার থানার দ্বারস্থ হয়।