নোয়াখালী শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না সন্ত্রাসীরা, সংখ্যালঘুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গলা ফুলিয়ে তারা চাঁদাও দাবি করছে। এই চাঁদার অঙ্কও কম নয়, কমপক্ষে ৫০হাজার টাকা। শহরের এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা হিসাবে দাবি করা হয়েছে ৩টি মোটর সাইকেল। এজাজবালিয়া ইউনিয়নের জমিদারহাট সংলগ্ন নন্দ কুরীর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে তার বাজারের দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। যুবলীগ নেতা আশীষ কুমার দাসের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। তার বৃদ্ধ বাবা-মাকেও করা হয়েছে চরম অপমান। চর আমানউল্লা ইউনিয়নের বরেন্দ্র মজুমদারের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে তার দুধেল গাভীটি নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। আবদুল মালেক উকিল কলেজের অধ্যক্ষের বাড়িতে ঢুকে তার ওপর হামলা চালাতে উদ্যত হলে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। সন্ত্রাসীরা চরক্লার্ক ইউনিয়নের আক্তার মিয়ার হাটের ডাক্তার বোরহান ও ধনুমেকার দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। চর আলাউদ্দিন বাজারের আলাউদ্দিন সওদাগর ও মনির সওদাগরের দোকানে তালা ঝুলিয়ে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। জয়পুরহাট ঃ জয়পুরহাট থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের পাতুরিয়া গ্রামের একটি প্রাচীন মন্দিরের মুর্তি কে বা কারা ভেঙ্গে ফেলেছে। এই ঘটনায় ঐ এলাকায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সদর থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে
দৈনিক জনকণ্ঠ, ১২ অক্টোবর ২০০১