সম্প্রতি বগুড়ার শেরপুরের অভিজাত বিপণি এলাকায় মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় প্রতিপক্ষের মামলা হয়। এ ঘটনায় মামলা গ্রহণ না করে উল্টো সংশ্লিষ্ট থানার ওসির ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়ার প্রতিবাদ ও পারিবারিক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাউন্সিলরপত্নী মোছা. ফাতেমা বেগম আদুরী।
৩ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দারের বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে কাউন্সিলর পত্নী মোছা. ফাতেমা বেগম আদুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার একমাত্র ছেলে আবির আহম্মেদ বনি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। ছেলে বনি সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের বৈকালবাজার সড়কের পাশে একটি অভিজাত বিপনীর সামনে গেলে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মানিক শেখের নেতৃত্বে ৭-৮ জন তাকে বেধড়ক মারধর করে।
তিনি বলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর থানায় মামলা দিতে গেলে ওসি শহিদুল ইসলাম আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ছেলে বনিকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়। এরপর উল্টো প্রতিপক্ষের মামলা গ্রহণ করে আমার শহরের বাসা ও উপজেলার গাড়িদহ এলাকায় আমার স্বামীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে একদল সাদা বাহিনীর পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অফিস ভাংচুর করে।
এমতাবস্থায় থানা পুলিশের অহেতুক হয়রানি করার চেষ্টায় পারিবারিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার স্বামী পৌর কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববিকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন ফাতেমা বেগম আদুরী।
এ ঘটনায় মিথ্যা মামলা থেকে কাউন্সিলর পত্র আবিব আহম্মেদ বনিকে অব্যহতিসহ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন কাউন্সিলরপত্নী।
এ সময় যুবলীগ নেতা গণেশ মুন্সী, শাপলা খাতুন, বিউটি খাতুন, সোহাগী খাতুন, জুলেখা পোদ্দার, নাসরিন খাতুন, জোসনা খাতুন প্রমুখ বেশ কয়েকজন স্থানীয় নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
ওসির দেয়া ক্রসফায়ারের হুমকি নিয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ওই কাউন্সিলরপত্নী বা তার ছেলেকে ‘ক্রসফায়ারের হুমকি’ দেয়া হয়নি। তবে থানায় মামলা প্রেক্ষিতে পুলিশ আসামিদের আটকের জন্য তাদের বাসায় গিয়েছিল। কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়নি বলে দাবি করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।