বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেজাউল করিম (৩০) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি পুলিশের র্নিযাতনে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বিচার দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা। অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
এলএলবি পাশ পাস রেজাউল নগরীর সাগরদি এলাকার মাংস ব্যবসায়ী মো.ইউনুস মুন্সির ছেলে।
৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বাড়ীর কাছে একটি চায়ের দোকান বসে ছিলেন রেজাউল। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মহিউদ্দিন তাকে মাদকের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করে।
তার কাছ থেকে ১৩৮ গ্রাম গাজা ও চারটি নেশা জাতীয় ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে দাবি করে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
রেজাউলের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের দাবি, সুস্থ মানুষটাকে ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনে হত্যা করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের কঠোর বিচার দাবি করেন নিহতের বাবা মো. ইউসুফ মুন্সি।
রেজাউল করিমকে শারীরিক ক্ষত নিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট কারাগারে পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. শাহে আলম।
তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে শুক্রবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে মৃত্যু হয় রেজাউল করিমের। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে স্ট্রোক উল্লেখ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে স্পর্শকাতর উল্লেখ করে এ ঘটনায় কিছুই বলতে রাজি হননি শের-ই বাংলা মেডিকেলের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।
এ ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। আইনের ব্যত্যয় হলে অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।