বাগেরহাটের শরণখোলা থানার এসআই বিশ্বজিত সহ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এক গার্মেন্টস কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গার্মেন্টস-কর্মী স্বপন আহমেদ হাওলাদারকে (৩৫) গ্রেফতার করার পর তার ওপর নির্যাতন করার অভিযোগ করেছেন তার স্বজনেরা। তবে পুলিশ বলছে, গ্রেফতার করার সময় ধস্তাধস্তি হয়েছে।

 

বুধবার (১০ জুন) সকালে ওই গার্মেন্টস কর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় শারীরিক নির্যাতন করে পুলিশ সদস্যরা। এসময় অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সে শরণখোলা উপজেলার মধ্য-খোন্তাকাটা গ্রামের মৃত নাদের হাওলাদারের ছেলে।

পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা গার্মেন্টস-কর্মী স্বপন ও তার বড় ভাই মোঃ ফুল মিয়া হাওলাদারের সাথে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় স্বপনের বোন রাহিমা আক্তার বাদী হয়ে স্বপনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

শরণখোলা থানা পুলিশের এসআই বিশ্বজিতের নেতৃত্বে কনস্টেবল সেলিম ও সোহাগসহ পুলিশের ৩ সদস্যের একটি দল তার বাড়িতে প্রবেশ করে স্বপনের নাম ধরে ডাক দেয়। এসময় তার স্ত্রী শারমিন (২২) ঘরের দরজা খুলতেই পুলিশ সদস্যরা ঘুমন্ত স্বপনকে বিছানা থেকে টেনে হিঁচড়ে খাট থেকে নামিয়ে মারধর করতে করতে নিয়ে যায়।

স্বপনের বড় ভাইয়ের স্ত্রী রঞ্জিনা বেগম বলেন, পুলিশ সদস্যরা স্বপনকে ঘর থেকে মারতে মারতে রাস্তায় নিয়ে যায় এবং বলে পুলিশ কি জিনিস তোকে এবার ভাল করে বোঝাব বলে, রাস্তায় ফেলে মারধর করতে থাকে। এ সময় স্বপনের স্ত্রী নির্যাতন থেকে তার স্বামীকে বাচাঁতে পুলিশের হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকে। তারপরও পুলিশ তাকে মারধর করে।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.ফরিদা ইয়াছমিন বলেন, থানা থেকে দুপুরে স্বপন নামের এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ওই রোগীর হার্ট ব্লক হয়ে যাওয়ার কারণে তাকে তাৎক্ষণিক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সময় নিউজ টিভি

 

মন্তব্য করুন