বাগেরহাটে পুলিশ হেফাজতে রাজা ফকির (২৫) নামে হত্যা মামলার এক আসামির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে পরিবারের অভিযোগ পুলিশ তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে রাজা ফকিরের লাশ হাসপাতালে দেখে পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন। রেজা ফকির খানজাহান আলী (রহঃ) মাজারের খাদেম বাবু ফকিরের ছেলে।
তার পরিবার জানায়, বাগেরহাট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পটুয়াখালী থেকে রোববার দুপুরে রাজাকে আটক করে নিয়ে আসে। পরে পরিবারের সদস্যরা রাজার আটকের খবর পেয়ে দেখতে গিয়ে পিবিআই অফিসে অনেকবার ধর্না দিয়েও দেখতে পারেনি।
আটক রাজা ফকির ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর খানজাহান আলী মাজারে তালিম মল্লিক নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে ছুরি মেরে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সেই থেকে রাজা পলাতক ছিলেন। বাগেরহাটের আলোচিত এই হত্যা মামলাটি বর্তমানে বাগেরহাট পিবিআই তদন্ত করছে।
নিহত রাজার পিতা বাবু ফকির অভিযোগ করেন, তালিম মল্লিক হত্যা মামলায় রাজাকে পিবিআই পটুয়াখালী থেকে রোববার দুপুরে আটক করে নিয়ে এসে বাগেরহাট অফিসে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। পরে তার ছেলে পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যু হলে সন্ধ্যায় পিবিআই লাশ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে তারা খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় করলেও রাতে তাদের লাশ দেখতে দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে বাগেরহাটে কর্মরত পিবিআইয়ের পরিদর্শক আলীমুজ্জামান যুগান্তরকে জানান, পিবিআইয়ের বাগেরহাটের একটি টিম তাকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে বাগেরহাটে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তবে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমাউন কবির সোমবার রাতে যুগান্তরকে জানান, দুপুর ১টা ২০ মিনিটের সময় রাজা ফকিরের লাশ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে আসে। যা হাসপাতালের খাতায় লিপিবদ্ধ আছে।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো জাহিদুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।