বান্দরবানের আলীকদমে মাদ্রাসার টিউবওয়েল থেকে পানি নেওয়ায় এক নারীকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ওই নারীর দুই ছেলে ও মেয়েকেও ঝাড়ু– দিয়ে পিটিয়ে ও ইটের আঘাতে আহত করা হয়েছে।
হামলার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আটক করা হয় মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাসস্টেশন এলাকার ফয়জুল উলুম মাদ্রাসায়। বুধবার মামলা দায়ের করা হয় আলীকদম থানায়।স্থানীয়রা জানান, উপজেলা সদরের বাসস্টেশন সংলগ্ন ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার টিউবওয়েল থেকে পার্শ্ববর্তীরা প্রায় সময় পানি নিয়ে থাকেন। ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে পানি নিতে আসে প্রবাসী আহম্মদ শরিফের ছেলে মো. আলম (১৯)। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মাদ্রাসার পরিচালক মওলানা সামসুল হুদা ঝাড়ু– দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন মো. আলমকে।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছোট ভাই মো. রফিক (১৬) এলে তাকেও বেধড়ক পেটান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। স্থানীয়রা আহম্মদ শরিফের ন্ত্রী সালমা বেগমকে (৩৮) খবর দিলে সালমা বেগম ও তার স্কুলপড়–য়া মেয়ে মহিমা জান্নাত রুনা (১৪) সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানান।এ সময় লাঠি, ঝাড়ু ও ইট দিয়ে সম্মিলিতভাবে তারা তাদের ওপর হামলা করেন। নারীর ওপর শিক্ষকদের হামলার ঘটনা ভিডিও করে রাখেন অন্যরা। পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।সালমা বেগমের ছেলে আহত মো. রফিক জানান, ঘটনার পর তারা থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি, কোনো বিচারও করেনি।ওই মাদ্রাসার পরিচালক স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিনের আত্মীয় হওয়ায় পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে রাতে হামলার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে টনক নড়ে প্রশাসনে। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নির্দেশে বুধবার মামলা হয় থানায়।আহত সালমা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ মাদ্রাসার শিক্ষক মওলানা মাহামুদুল করিম ও আলমগিরকে আটক করেছে।বান্দরবানের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এক নারীর ওপর শিক্ষকদের হামলার ভিডিও ফেসবুকে দেখার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আলীকদম থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।