কক্সবাজারের টেকনাফ ও মহেশখালীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩জন নিহত হয়েছে।এরমধ্যে টেকনাফে র্যাবের সাথে ২জন ইয়াবা ব্যবসায়ী ও মহেশখালীতে পুলিশের সাথে ১জন ডাকাত নিহত হয়েছে। এসময় অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের দাবি নিহতরা চিহ্নিত ডাকাত ও ব্যবসায়ী।
টেকনাফ র্যাব -৭ কার্যালয়ের ইনচার্জ লে. মীর্জা সাহেদ জানান, ‘ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের সদস্যরা টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়াঘাট এলাকায় অভিযানে নামেন। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় দুই যুবক । নিহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, ২টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ওয়ান শ্যুটারগান ও ১৪ গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব। নিহতদের টেকনাফ থানা পুলিশের সহায়তায় ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে’।
অপরদিকে, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানিয়েছেন, ‘ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে অভিযানে গেলে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের শামলাপুর ঢালায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হেলাল উদ্দিন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত হেলাল একজন চিহ্নিত ডাকাত ও মাতারবাড়ি ইউনিয়নের হংসু মিয়াজিপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।