রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা হেফাজতে মারা যাওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ এ কথা জানান।
আবু বক্করের ময়নাতদন্ত শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মাথায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পায়ের আঘাত দেখে মনে হয়েছে তিনি কোনোকিছুর সঙ্গে বাড়ি খেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তার ভিসারা নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। এছাড়াও তার গলা থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হবে। সেটাও পরীক্ষা করা হবে। আমরা তার পা ও মাথায় আঘাত পেয়েছি। সবগুলো পর্যালোচনা করে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নেবো।’
এক প্রশ্নের জবাবে সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘সবগুলো পরীক্ষার রিপোর্ট আসলে আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করে জানতে পারবো তার মৃত্যুর কারণ কী। তবে তার শরীরের যেসব আঘাত রয়েছে, সেগুলো তার মৃত্যুর একমাত্র কারণ নয়।’
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার হাজতখানা থেকে বিএফডিসি’র ফ্লোর ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে হাজতখানায় সার্বক্ষণিক পুলিশের পাহারা ও সিসিক্যামেরা থাকার পরও তিনি কীভাবে আত্মহত্যা করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আবু বক্করের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিএফডিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গতকাল রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা তেজাগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাকে ১৮ জানুয়ারি শনিবার গ্রেফতার করে পুলিশ।