কুষ্টিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর কাজ করাকালীন রেলওয়ের ট্রলিম্যানকে ধরে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

 

অভিযুক্ত ওয়াহেদ খান রনি কুষ্টিয়ার পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খানের ছেলে। আহত ট্রলিম্যান শহিদুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তার ছেলে মাসুদ রানা আটজনের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

ট্রলিম্যান শহিদুল ইসলাম শনিবার (৬ মার্চ) জানান, তিনি মিলপাড়া এলাকায় রেলওয়ের কুষ্টিয়া উপসহকারী প্রকৌশলী কার্যালয়ে ট্রলিম্যান হিসেবে কর্মরত। শুক্রবার দুপুরে মিলপাড়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তিনি কাজ করছিলেন। রাত ৮টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে ওয়াহেদ খান ওরফে রনি খান কাজ করাকালীন তাকে ধরে নিয়ে স্টেশনে যান। সেখানে অনেক লোকজনের সামনে তাকে দাঁড় করিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন।

শহিদুল ইসলাম বলেন, কখনও জামায়াত-বিএনপি, কখনও ট্রেনের চোর বলা হয় তাকে। একপর্যায়ে ঘাড় চেপে ধরে লাঞ্ছিত করা হয়। মারধরের পর পাশের বাজারে দোকানের সামনে নিয়ে আবার মারধর করে রনি ও তার লোকজন। এ সময় তার ছেলে মাসুদ রানা রক্ষা করতে এলে তাকেও মারধর করা হয়। মারধরের তিনটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় রনির লোকজন। তিনি বলেন, রেলের কোয়ার্টারে অবৈধভাবে রনির এক আত্মীয় বাস করছিলেন। সম্প্রতি তাকে উচ্ছেদ করা হয়। রনির ধারণা, এটি আমার কারণে হয়েছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শওকত কবির বলেন, রেল কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এজাহারে অনেক বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। সব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

সমকাল

মন্তব্য করুন