গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় গত ১৫ জানুয়ারি (বুধবার) জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এক কিশোরীকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে গাজীপুর মহানগরীর রাজবাড়ী ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে র্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতাররা হলেন- কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার নৈয়পুরা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শরীফ হোসেন (১৮), ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার উজান চন্দ্রপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে ইমরান হাসান সুজন (১৯), গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সাবাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে শরিফ উদ্দিন মোল্লা (২০), ধর্ষণের পরিকল্পনাকারী ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার গোলাভিটা গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে আহসান ওরফে হাসান (১৬)।
প্রথমে শরীফ হোসেনকে গাজীপুরের রাজবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতারর করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে ইমরান হাসান সুজন, শরিফ উদ্দিন মোল্লা ও আহসান ওরফে হাসানকে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে র্যাব। তারা পরিবারসহ নয়নপুর এলাকায় ভাড়া থাকতো।
র্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ১৫ জানুয়ারি বিকেলে ওই চার বন্ধু জন্মদিনের কথা বলে নয়নপুর এলাকার একটি বাসায় ওই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায় ও জন্মদিনের কেক কেটে সবাই মিলে আনন্দ উল্লাস করে। জন্মদিন অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই কিশোরীকে এনার্জি ড্রিংকসের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পান করিয়ে অজ্ঞান করে। পরে পাশের একটি ঝোঁপের ভেতর নিয়ে কিশোরীর হাত, পা ও মুখ বেঁধে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মামলার ২নং আসামি ইমরান হাসান সুজন তার মোবাইল ফোনে ওই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তার ফেসবুক আইডিতে আপলোড করে বলে গ্রেফতাররা স্বীকার করেছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় গত ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। গ্রেফতারদের থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।