গাজীপুরের শ্রীপুরে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে এক পোশাক শ্রমিককে (৩২) সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের এলিম বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিম মঙ্গলবার শ্রীপুর থানায় চার জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্তরা হলো, একই ইউনিয়নের আমতৈল এলাকার মৃত নজুম উদ্দিনের ছেলে মিজান ফকির, মিজানের বাড়ির ভাড়াটিয়া নুরুল ইসলামের ছেলে সুলতান, সুরুজ মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন ওরফে সুবল এবং রানা। অভিযুক্ত সুলতানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে মুলাইদ এলাকার মিজান ফকিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
মামলার বিবরণ ও ভিকটিমের ভাষ্যমতে, ভিকটিম মুলাইদের একটি কারখানার অপারেটর। সে স্থানীয় শহীদের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তাকে নানা ধরনের অপবাদ দিয়ে সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বাড়ির মালিক বাসা থেকে বের করে দেয়। তার এ অবস্থা দেখে প্রতিবেশী মিজান ফকির ভিকটিমকে তার বাসায় আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টায় বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে মিজান ফকির তাকে ধর্ষণ করে। অন্য অভিযুক্তরা তাকে মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে দুপুর সোয়া ১টার দিকে তাকে কক্ষ থেকে বের করে দেয়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার জানান, ভিকটিম তার জনৈক স্বজনকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মো. সুলতান উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। ভিকটিমের চিকিৎসা প্রতিবেদনের জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার সুলতান উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।