গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপি সন্ত্রাসীরা অব্যাহতভাবে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের লুটপাটের পর বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সদস্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগ প্রার্থীগণ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে রাখেন গাজীপুর-১ (শ্রীপুর-কালিয়াকৈর) আসনের নবনির্বাচিত এমপি সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট রহমত আলী, গাজীপুর-২ (সদর-টঙ্গী) আসনের নবনির্বাচিত এমপি আহসান উল্লাহ মাষ্টার,গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের নবনির্বাচিত এমপি তানজিম আহম্মদ সোহেল তাজ এবং গাজীপুর-৩ (কালীগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আখতারউজ্জামান। এডভোকেট রহমত আলী বলেন, নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই বিএনপি’র ক্যাডাররা গাজীপুরের সর্বত্র সন্ত্রাস শুরু করে। ১ তারিখের পর তাদের সন্ত্রাসের মাত্রা এত বেড়েছে যে, এখন অধিকাংশ সংখ্যালঘু পরিবারই ঘরছাড়া। জনমনে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। তানজিম আহম্মদ সোহেল তাজ বলেন, নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকেই কাপাসিয়ার ইউএনও এবং ওসি আমাদের বিপক্ষে ভুমিকা পালন করতে শুরু করে। মূলত তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই বিএনপি’র সশস্ত্র ক্যাডাররা সেখানে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর তারা দুর্গাপুর ইউনিয়নের নলিপাশা গ্রামে হিন্দুদের মন্দির ভাংচুর করেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং তাদের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। একই রকম ঘটনা ঘটেছে সিংহশ্রী ইউনিয়নেও। পুলিশ এসব ঘটনা দেখলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুল আলম প্রধান এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনের পরদিন থেকে বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসীরা গাজীপুর জেলার প্রতিটি থানায় ব্যাপক সন্ত্রাস শুরু করেছে। তাদের টার্গেট হিসাবে রয়েছে প্রধানত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। তাদের হামলায় আহত হয়ে অনেকেই এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

দৈনিক জনকন্ঠ, ৮ অক্টোবর ২০০১

মন্তব্য করুন