স্বরূপকাঠির আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থক ও সংখ্যালঘুরা এখন বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। বাড়িঘর ভাংচুর, হামলা-লুটপাট, কুপিয়ে অন্তত ৫০জনকে আহত করার ঘটনা ঘটছে নির্বাচনের পর থেকে। চলছে চাঁদাবাজি। ইতোমধ্যে স্বরূপকাঠি বাজারের এক খ্যাতনামা সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন। পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। বিএনপির সভাপতি বলেছেন তাদের কর্মীরা এসব ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার আমরা তিনটি জাতীয় দৈনিকের সংবাদকর্মীরা সেখানে গেলে এমন পরিস্থিতি নজরে আসে। স্বরূপকাঠি ঊপজেলায় আমরা যখন পৌঁছি তখন দুপুর। উপজেলা পরিষদের সামনে বিএনপির একদল কর্মী আমাদের গতিরোধ করে। তারা আমাদের কাছে জানতে চায় আমরা কারা? কোথা থেকে এসেছি? তাদের অগ্নিমূর্তি দেখে আমরা আমাদের পরিচয় গোপন করি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আরামকাঠি গ্রামে বিএনপির কর্মীরা চাঁদা দাবি করে । স্বরূপকাঠি বাজারের কয়েক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেছে। সাহা পদবির এক ব্যবসায়ীর কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঐ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, চেষ্টা করছি কত কম টাকা দিয়ে রেহাই পাওয়া যায়। স্বরূপকাঠি বাজারে সবচেয়ে বড় মুদি ব্যবসায়ীদের একজন নারায়ণ সাহা। তার কাছেও চাঁদা দাবি করা হয়েছে। তিনি এখন ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন। আটঘর কুড়ানিয়ার বিভিন্ন গ্রামেও নানা উস্কানিমূলক কার্যক্রম চলছে। সেখানকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নান্টুর নেতৃত্বে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ধীরেন শিকদারকে মারধর করা হয়েছে। কাটাপোলের কাছে ৪/৫টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দোকান ভাঙ্গা হয়েছে নৌকায় ভোট দেয়ার অভিযোগে।

দৈনিক জনকন্ঠ, ৮ অক্টোবর ২০০১

মন্তব্য করুন