জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌন হয়রানি ও অপহরণ চেষ্টার ঘটনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীর নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৪) কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

বুধবার (৫ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার ধনকুড়াইল গ্রামের হেলাল হোসেনের ছেলে সিহাব (১৯), একই গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (১৯), ইসলামপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে মোমিন (১৮), রামপুরা গ্রামের আক্কাস আলীর আশরাফুল ইসলাম (১৯), খলিলুর রহমানের ছেলে লিটন হোসেন(১৯), সুর্য্যবান গ্রামের আজিমুদ্দিন ইমন হোসেন (১৮), আটিগ্রামের শামছুল হকের ছেলে সাজ্জাদুল (১৯)।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, ‘স্কুল ও প্রাইভেট যাওয়ার পথে ওই স্কুলছাত্রীকে প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করতো সিহাব নামের এক বখাটে। স্কুল ছাত্রীর অভিভাবক বার বার ওই বখাটেকে সতর্ক করে দেয়ার পরও বারণ শুনেনি। মঙ্গলবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ির সামনে তার মাকে ধান শুকানোর কাজে সহযোগিতা করাকালে বখাটে সিহাবসহ সাতজন তাকে যৌন হয়রানিসহ অপহরণ করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে সাতজনকে আটক করেন। পরে পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে।’

ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বুধবার সকালে ক্ষেতলাল থানায় মামলা করেছেন। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’

জাগো নিউজ

মন্তব্য করুন