জয়পুরহাটের পাঁচবিবির বীরনগর গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক ও একজন ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের পর স্থানীয় ইউপি সদস্য ছাত্রীর পরিবারকে ২ লাখ টাকায় আপসের চাপ দেন বলে এলাকাবাসী জানায়।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুন সন্ধ্যায় বীরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম-নৈশপ্রহরী মেহেদী হাসানের বাড়িতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিতে যায় ছাত্রীটি। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় ছাত্রীকে পাশের ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাড়ি ফিরে বিষয়টি মা-বাবাকে জানালে তারা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জানান।

এদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম মামুন ও উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলীমুজ্জামান বাবুল (৪৫) টাকার বিনিময়ে আপস করার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারকে চাপ দেয়। এতে রাজি না হয়ে পরিবারটি থানায় মামলা করে।

পরে পুলিশ ধর্ষক মেহেদী ও বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার অপরাধে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম মামুনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মামলার ৩নং আসামি কৃষক লীগ নেতা বাবুল পলাতক রয়েছেন।

এদিকে স্থানীয় সূত্র ও ওই ছাত্রীর পরিবার জানায়, ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম মামুন ও কৃষক লীগ নেতা আলীমুজ্জামান বাবুল ২ লাখ টাকার বিনিময়ে আপস করার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারকে চাপ দেয়। এ টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা ওই ছাত্রীর পরিবারকে ও বাকি এক লাখ টাকা নিজেরা ভাগ করে নেওয়ার কথা হয়।

পাঁচবিবি থানার ওসি পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, স্কুলছাত্রীর পরিবার থানায় ধর্ষণ মামলা করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন