জয়পুরহাটের জেলা শহরের গুলশান চৌমোড় এলাকায় বামনপাড়া দুর্গা মন্দিরে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় প্রতিমা ভাংচুরের ওই ঘটনায় প্রিন্স মিয়া নামে একজন উগ্রপন্থী মুসলমানকে আটক করেছে পুলিশ।
তার নিকট থেকে একটা দা উদ্ধার করা হয়। সে গুলশান এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
গুলশান চৌমোড়ের বামনপাড়ায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। ২৬ অক্টোবর সোমবার বিজয়া দশমী পূজা শেষে বেলা ১২ টার দিকে বিসর্জনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল এলাকার সনাতন ধর্মালম্বী লোকজন। এ সময় মন্দিরের ভেতরে দু’একজন ছাড়া কেউ ছিলনা। দুর্গা মন্দিরের ভেতরে ওত পেতে থাকা ওই যুবক প্রিন্স এই সুযোগে প্রতিমা ভাংচুর শুরু করে। ভাংচুরের শব্দ শুনে পাশে অবস্থান করা ঢাকী শংকর প্রথমে এবং পরে সত্যম নামে অপর ঢাকী আসলে দা উঁচু করে তাদের আঘাত করার চেষ্টা করে পালিয়ে যায়।
প্রতিমা ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে আসে এবং ধানের মাঠ দিয়ে পালানোর সময় প্রিন্সকে আটক করা হয় বলে জানান, সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান। প্রতিমা ভাংচুরের খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবিরসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। বর্তমান সরকারের নীতি অনুযায়ী সম্প্রীতির বাংলাদেশে কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে কঠোর হাতে তা দমন করা হবে উল্লেখ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও জেলা হিন্দুবৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দকে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করা হয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির জানান, আটক প্রিন্সকে ডিবি কার্যালয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোন দলীয় পরিচয় আছে কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার।