ঝালকাঠিতে এক নারীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় এবং নির্যাতনের পর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমী কেকাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

 

১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদালতে ওই নারী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন বলে তার আইনজীবী মোজাম্মেল হোসেন জানান।

মামলার বাদীর বাড়ি ঝালকাঠি জেলা পরিষদের সামনে।

মামলার বরাতে মোজাম্মেল হোসেন  বলেন, “ঝালকাঠি শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তাপু ও তার সহযোগী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমী কেকাসহ ৮-১০ জন গত ৩০ অগাস্ট সন্ধ্যায় ভিকটিমের বাড়ি যান। আনিসুর রহমান তাপু মামলার বাদীর স্বামীর তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্ত্রীর ভাই।

“এ সময় তারা ঘরের ভেতরে ঢুকে ওই নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন। পরে ওই নারীকে অপহরণ করে শহরের বিআইপি সড়কের একটি হোটেলে নিয়ে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন করে চুল কেটে দেয়। এসময় ওই নারীর কাছ থেকে কয়েকটি সাদা কাগজেও সই নেওয়া হয়। পরে ওই নারীর ভাইকে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় আসামিরা। পরের দিন সকালে মুক্তিপণের ২লাখ টাকা দিলে নির্যাতিত নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”

ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. শহীদুল্লাহ মামলাটি ঝালকাঠি সদর থানায় সরসরি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাদীর সম্পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদানের আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবি।

তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে এ ঘটনা সাজানো দাবি করে এটি রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মামলা বলে দাবি করেছেন শারমীন মৌসুমী কেকা ও ঝালকাঠি শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তাপু দুজনেই।

তারা বলেন, আইনী লড়াইয়ে এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করবেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

মন্তব্য করুন