ঝালকাঠী সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের রুনসী গ্রামের এক বাড়ির ৪টি সংখ্যালঘু পরিবারকে উচ্ছেদ করার জন্য পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন নির্যাতন, ভয়ভীতি ও হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্যও তারা চাপ প্রয়োগ করছে। জানা যায়, এই বাড়ির কামার পেশায় জড়িত দরিদ্র গোবিন্দ দাস ও তার কাকা হরিদাসকে গত ১১ জানুয়ারি ২০০২ রাত ৭টায় কীর্তিপাশা বাজারে চায়ের দোকানে মারধর করা হয়। আহত গোবিন্দ দাস দীর্ঘদিন চিকিৎসা চালিয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। চিকিৎসা করা না হলে তাকে অন্য চোখটিও হারাতে হতে পারে বলে ডাক্তাররা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আহত হরিদাসও দীর্ঘদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হন। হামলাকারীরা হচ্ছে গোবিন্দ দাসের প্রতিবেশী সন্ত্রাসী সুলতান সর্দারের দুর্ধর্ষ পুত্রদ্বয় আবুল কালাম সর্দার ও ছালাম সর্দার। এ ব্যাপারে গোবিন্দ দাসের স্ত্রী নমিতা রানী দাস বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ছালাম ও কালামকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে ওই পরিবারের পুরুষ সদস্যদের প্রাণনাশের এবং মহিলাদের সম্ভ্রমহানির হুমকি দিচ্ছে। ফলে গোবিন্দ দাস তার ভাই, কাকাসহ ৪টি পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এই রুনসী গ্রামে বর্তমানে এরা ছাড়া আরো ২টি সংখ্যালঘু পরিবার রয়েছে। গ্রামের লোকজন জানান, সুলতান সর্দার খারাপ প্রকৃতির লোক। সে তার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করায়নি। এরা বখাটে ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির। এদের অত্যাচারে আশপাশে কয়েকটি পরিবার টিকতে না পেরে এলাকা ছেড়েছে। এদিকে ডিবি পুলিশ মামলার চার্জশিট দিয়েছে। ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এই ঘটনা তদন্তে তারা জানতে পেরেছে সুলতান সর্দারের পরিবারের লোকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির। এলাকার লোকজন এদেরকে সব সময় এড়িয়ে চলে।
ভোরের কাগজ, ২৩ জুন ২০০২