মসজিদে জামায়াতের নামাজে ইকামত দেওয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে মোদাচ্ছের হোসেন মোল্লা (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৩০ জুলাই শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া পুটিয়া গ্রামে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে।
নিহত মোদাচ্ছের গোয়ালপাড়া পুটিয়া গ্রামের শুকুর আলী মোল্লার ছেলে। এদিকে হত্যাকান্ডের পর গ্রামটিতে ভাংচুর ও লুটপাটের চেষ্টা করা হলে পুলিশ বাধা দেয়। বর্তমান গ্রামটিতে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতের চাচাতো ভাই সোহাগ হোসেন মোল্লা জানান, বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজে মোয়াজ্জিন অনুপস্থিত ছিল। এ সময় নামাজের ইকামত দেওয়াকে কেন্দ্র করে মসজিদের মধ্যেই বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। সেই সুত্র ধরে সংঘর্ষে তার ভাই মোদাচ্ছের খুন হয়।
গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, সামাজিক আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ওই গ্রামের জাফর হোসেন ও মুক্তার মিলন গ্রুপে বিভক্ত। তুচ্ছ এ ঘটার জের ধরে শুক্রবার সকালে গোয়ালপাড়া পুটিয়া গ্রামের বউ বাজারে উভয় পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মোদাচ্ছের হোসেন ও তার ভাতিজাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মোদাচ্ছেরকে মৃত ঘোষণা করে। মোদাচ্ছেরের শরীরে একাধীক ধরালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। নিহত মোদাচ্ছের মুক্তার মিলন গ্রুপের সমর্থক বলে জানা গেছে। এলাকার ইউপি মেম্বর ফারুক হোসেন জানান, মসজিদে বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের জামায়াতে ইকামত দেওয়া নিয়ে এই বিরোধের সুত্রপাত। এমন তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে খুনোখুনি করা খুবই দু:খজনক ও উদ্বেগের বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক জানান, এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ এলাকায় অভিযান শুরু করেছে।