টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার বেলতা গ্রামে দুটি কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর পুলিশ এবং পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। তবে আটককৃত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
রবিবার (১৭ অক্টোবর) উপজেলার কামগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুন ঝন্টু বলেন, ‘‘বেলতা গ্রামে খুশিমোহন মন্ডলের বাড়ির ব্যক্তিগত কালি মন্দিরের সামনে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ছিলো। এসময় পাশের বাড়ির মহিলা এবং মুসলাম সম্প্রদায়ের লোকজন ওই ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে চলে যায়। পরে তারা মন্দিরের মহাদেব, মা কালী, শীতলা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। এরপর ওই ব্যক্তি চলে গিয়ে সামনের আরেকটি পুরোনো একটি অরক্ষিত কালীমন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে।”
তিনি আরও বলেন, “স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় ভাঙচুরকারী মানসিক ভারসাম্যহীন। এ ব্যাপারে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। এমনকি থানায় কোন মামলাও দায়ের করা হয়নি।যদি কারও বাড়িতে অরক্ষিত থাকা অবস্থায় মন্দির ভাঙচুর করা হয়, তাহলে সেই দায় ওই বাড়ির মালিককে নিতে হবে।’’
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে কারও কোনো অভিযোগ নেই। ভাঙচুরকারী মানসিক ভারসাম্যহীন।”