কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন।

 

২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেকনাফের নয়াপাড়া মৌচনি রোহিঙ্গা শিবিরের পশ্চিমে পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব জানিয়েছে, বন্ধুকযুদ্ধে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- টেকনাফের নয়াপাড়ার সি ব্লকের বাসিন্দা ডাকাত মো. জকির আহমদ ওরফে জকির, তার সহযোগী একই ক্যাম্পের মো. জহির ও মো.

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, ‘টেকনাফের নয়াপাড়া মৌচনি রোহিঙ্গা শিবিরের পশ্চিম পাহাড়ে শীর্ষ ডাকাত গ্রুপ জকির বাহিনী অস্ত্র-সশস্ত্রসহ অবস্থান করছে বলে খবর আসে। তারই সূত্রে মঙ্গলবার বিকেলে র‌্যাবের একটি দল দল সেখানে অভিযান চালায়।

তিনি বলেন, এসময় র্যাূব মাইকিং করে তাদের বারবার আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু র‌্যাবকে লক্ষ্য করে শীর্ষ ডাকাত জকির বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালায়। র্যামবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।

র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক জানান, ঘন্টাখানেক গোলাগুলির পর ডাকাতরা পিছু হটে পাহাড়ি অঞ্চলে ঢুকে পরে। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। তার মধ্যে এই ডাকাত দলের প্রধানও ছিল। লাশ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় র‌্যাবের এক সদস্য গুলিবিদ্ধসহ দুইজন আহত হয়েছেন।

র‌্যাব বলছে, ঘটনাস্থল থেকে ২টি পিস্তল, ২টি বন্দুক, ৫টি ওয়ান শুটারগান ও ২৫ রাউন্ড বন্দুক পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শীর্ষ ডাকাত জকিরসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে জকিরের বিরুদ্ধে ২০টির অধিক মামলা রয়েছে। মূলত তারা ক্যাম্পে ত্রাস ছিল।

টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা মো. ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে তার শিবিরের পশ্চিমে পাহাড়ি এলাকায় ডাকাত গ্রুপের সঙ্গে র‌্যাবের গোলাগুলি ঘটনায় শীর্ষ ডাকাত জকির আহমদসহ তিন নিহত হয়েছে। ডাকাত নিহত হওয়ার খবরে শিবিরে লোকজনের মাঝে স্বস্তি এসেছে। তবে ডাকাত দলের আরো লোকজন রয়ে যাওয়ায় শিবিরের বাসিন্দারা ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছেন।

সমকাল

মন্তব্য করুন