দিনাজপুরের বিরলে স্কুলছাত্রী ও গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে বিয়ের কথা বলে স্কুলছাত্রীকে তার প্রেমিক এবং গরুর ঘাস কাটতে গেলে স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ধর্ষণে ঘটনা দু’টিতে পৃথক এজাহার দাখিল করা হলেও গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগটি ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকালে রজু করা হয়েছে। তবে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগটি এখনও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিরল থানা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের নরশিংপাড়ার কেরাম উদ্দীনের ছেলে সাগর (২০) বিয়ের কথা বলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গত সোমবার (২ নভেম্বর) রাতে ওই ছাত্রীর অভিভাবক বাদী হয়ে বিরল থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পলাশবাড়ী এলাকার এক দিনমজুরের স্ত্রী গরুর ঘাস কাটতে বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে গেলে ইভিরামপুর (বাহইল) গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একরামুল হক (৪০) তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে একরামুল হককে আসামি করে বিরল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ওসি শেখ নাসিম হাবিব বলেন, ‘দিনমজুরের স্ত্রী ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগটি মঙ্গলবার বিকালে মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। তবে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাটি এখনও তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের ভিত্তিতে বিষয়টিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
