জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মহাসড়কে চলছিল অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান। এসময় স্বাভাবিক নিয়মে সঙ্গে ছিল পুলিশ সদস্য। ওই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয় এক মাটি ব্যবসায়ী। তাকে থামতে সিগন্যাল দেওয়া হয়। তবে মোটরসাইকেল থামাতে দেরি হওয়ায় পুলিশ সদস্যের বন্দুকের বাটের আঘাতে দাঁত হারাতে হয় ওই ব্যবসায়ীকে।

 

ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, মোটরসাইকেল থামাতে দেরি হওয়ায় বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে এক পুলিশ সদস্য। এতে ব্যবসায়ীর একটি দাঁত ভেঙে যায়। আঘাত পায় আরও চারটি দাঁত।

তবে পুলিশের দাবি, বন্দুকের বাটের আঘাতে নয়, পুলিশের হাতে লেগে মোটরসাইকেল থেকে পরে জখম হন ওই ব্যক্তি।

অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যর নাম অনিক হাসান। তিনি নাটোর পুলিশ লাইন্সে কর্মরত।

বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর মেয়ে মিথিলা ঘটনার বিষয়ে জানান। মিথিলা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা-নাটোর মহাসড়ক দিয়ে মাটি ব্যবসায়ী মিন্টু মোটারসাইকেল যোগে দত্তপাড়া থেকে হরিশপুর ফিরছিলেন। এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত মেহেদি সেতুর নেতৃত্বে চলছিল অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান। পুলিশ সদস্য অনিক মোটরসাইকেল থামাতে সিগন্যাল দেন মিন্টুকে। কিন্তু মিন্টু সিগন্যাল পার হয়ে গেলে ওই পুলিশ সদস্য হাতের বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করেন মিন্টুকে। এসময় রক্তাক্ত হয়ে মিন্টু গাড়ি থামালে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে পুলিশের সহযেগিতায় মিন্টুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

মিথিলা দাবি করেন, বাবার একটি দাঁত ভেঙে গুড়ো হয়ে গেছে। আরও চারটি দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, মিন্টুর চিকিৎসা চলছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, তদন্তে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী বা তার পরিবারের দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। তদন্তে পাওয়া গেছে, প্রথমে এক পুলিশ সদস্য মিন্টুকে থামাতে সিগন্যাল দেন। কিন্তু তিনি তা অমান্য করেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের সিগন্যালও অমান্য করলে পুলিশ সদস্য অনিক তাকে থামাতে হাত তোলেন। এসময় তার হাতের সঙ্গে লেগে মিন্টু মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পরে জখম হন।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন